আমাদের শৈশবে পাঠ্যক্রম কিংবা পাঠ্যপুস্তকের তেমন কোনো পরিবর্তন হতে দেখিনি। বড় ভাইবোনের পঠিত বই দিয়েই অনেকটা স্কুলজীবন পাড়ি দিতাম। স্কুলের পড়াশোনা ছিল আমাদের কাছে আনন্দেরই অন্য নাম।
স্কুলে আসা-যাওয়ার পথটিও ছিল আনন্দে ঠাসা। ঋতু পরিবর্তন, রংধনু, বীজের অঙ্কুরোদ্গম, রঙিন প্রজাপতি কিংবা লাল-নীল ফড়িংয়ের সঙ্গে আমাদের মিতালি হতো স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে।
বছরের পর বছর পাঠ্যপুস্তক কিংবা এর বিষয়বস্তু অপরিবর্তিত থাকবে, তা মোটেই কাম্য নয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার হবে, পাঠ্যক্রমের আধুনিকায়ন হবে, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জিত হবে, এর বিষয়বস্তুর পরিবর্তন-সংযোজন-বিয়োজন হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এ পরিবর্তন যখন অতি দ্রুতগতিতে হতে থাকে, তখন তা আবার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।