চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেননি তারা।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৮০ জন সদস্য অংশ নেন।
অভিযান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রীর তথ্যের ভিত্তিতে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের একজনের আজিম হোসাইন। আরেকজনের নাম তদন্তের পর বলা যাবে। ওই ছাত্রী সময় ও জায়গার ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এ কারণে তাঁদের শনাক্ত করতে কিছুটা সময় লেগেছে।
চবির হলের পাশে ছাত্রী হেনস্তা, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি
জানা গেছে, আজিম হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের পাশের রাস্তায় বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলেন ভুক্তভোগী সংগীত বিভাগের ওই ছাত্রী। এ সময় পাঁচ যুবক তাঁদের গতিরোধ করে জেরা করতে থাকে। একপর্যায়ে দুজন কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের মারধর করে। এ সময় ভুক্তভোগী ও তাঁর বন্ধুকে এক ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ওই যুবকেরা। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁদের মানিব্যাগ ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাঁরা চলে যায়।