খাদ্যনিরাপত্তাই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ রাজনীতি

আজকের পত্রিকা ফজলুল কবির প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২২, ১৩:২৩

আজ কেনা খাবার দুই দিন পরই কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। সীমিত আয়ের মানুষের জন্য বাজার এক স্থায়ী দুঃখের নাম যেন। নানা অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা কমার নাম নেয় না সহজে। ফলে বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা পড়ছে ভয়াবহ ঝুঁকিতে। এটা এখন আর শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের অনেক দেশেরই বাস্তবতা, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে বলে মনে করা হচ্ছে।


বাংলাদেশে বছরের প্রথমার্ধে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে বেশ হট্টগোল হলো। এখন এ নিয়ে আলোচনা একটু থিতিয়ে এলেও ভোজ্যতেল নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের সংকট একই তিমিরে রয়ে গেছে। কয়েক দফায় সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর পর অবশেষে লিটারে ১৪ টাকা কমিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশের ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিবেশক কোম্পানিগুলো। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে যে মাত্রায় বৃদ্ধি হয়েছিল, সেই মাত্রায় দাম কমেনি। এ নিয়ে যখন আলোচনা শুরুর সময়, তার আগে আগেই খবর এল কারও কথা না শুনেই পানির দাম বাড়ানোর গোঁ ধরেছেন ওয়াসার এমডি।


জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে হুজ্জতের কথা নিশ্চয় মানুষ এখনো ভোলেনি। সঙ্গে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ-সংকট। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের সম্ভাব্য সময়সূচি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এলাকাভেদে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে। বিদ্যুৎ সরবরাহে এই সংকট নিশ্চিতভাবে উৎপাদন ব্যাহত করবে, যেমন হচ্ছে দেশে দেশে।


এরই মধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। এ তালিকায় আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো রয়েছে। সামনে এই সংকট আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ওয়ান আর্থ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ১৭ জুলাই।


কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দুই দশকে খাদ্যনিরাপত্তা বড় সংকট হিসেবে দেখা দেবে, যা বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এর কারণ হিসেবে গবেষকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সংঘাত ইত্যাদিই এর মূল কারণ। একই সঙ্গে তাঁরা বলছেন, ক্ষুধাপীড়িত জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই বাস করে সেই সব অঞ্চলে, যেখানে হয় স্বৈরশাসন চলছে, সরাসরি সামরিক শাসন আছে বা সংঘাত আছে বা রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে।


গবেষকেরা বলছেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে সুপেয় পানির স্বল্পতা হয়ে উঠবে সবচেয়ে বড় সংকট। খাওয়ার পানির এই সংকটের কারণে এমনকি দেশে দেশে সংঘাতও তৈরি হতে পারে। এর সঙ্গে যোগ হবে দাবদাহ, খরা, আয়বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতার মতো বিষয়গুলো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us