বিয়ের কিছুদিন পর অনেক দম্পতিই পরস্পরের ত্রুটিগুলোকে অনেক বড় করে দেখতে শুরু করেন। যে কারণে তাদের পক্ষে দাম্পত্য জীবনের ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলো মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। দাম্পত্য বিদ্বেষ হলো বিয়ের সেই সময়কাল যেখানে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে নেতিবাচকভাবে দেখে। বিশেষজ্ঞরা বিয়ের প্রতি বিদ্বেষ বা ভয়কে বিবাহিত দম্পতির জীবনের একটি পর্যায় হিসাবে বিবেচনা করেন। এই দাম্পত্য বিদ্বেষের কারণে অনেকের বিয়ের প্রতি এক ধরনের ভয় চলে আসে। সচেতন হলেই এই ভয় দূর করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
চরম নেতিবাচকতা
দম্পতির মধ্যে পরস্পরের প্রতি নেতিবাচকতা প্রকাশ পেলে দাম্পত্য বিদ্বেষ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যেখানে দাঁড়িয়ে দুইজনেরই মনে হতে থাকবে, এই বিয়ে করা একেবারেই ভুল ছিল। বিষয়গুলো এত বেশি নেতিবাচক হয়ে উঠবে যেখানে পরস্পর কেবল দোষ খুঁজে বের করবেন।
পরস্পরের অভ্যাস নিয়ে হতাশা
একে অপরের অদ্ভুত অভ্যাসের কারণে দ্রুত হতাশ হয়ে পড়া এই দাম্পত্য বিদ্বেষেরই অংশ। তখন একজনের ছোট ছোট কাজও অপরজনের কাছে মস্ত বড় দোষের বলে মনে হয়। একে অপরের সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, অল্পতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান। কিন্তু বিয়ে হলো মানসিক শান্তির অন্যতম আশ্রয়। সেখানে ঘৃণা-বিদ্বেষ থাকলে তা আপনাকে দ্রুত হতাশ করে দেবে। তাই এটি বন্ধ করতে হবে। পরস্পর মুখোমুখি বসে সমস্যাগুলোর সমাধান করুন।
এটি বিয়ের জন্য হুমকি হতে পারে
দাম্পত্য বিদ্বেষ অত্যন্ত নেতিবাচক। এটি আপনার বিয়ের সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। প্রতিহত করা না গেলে এর কারণে বিবাহবিচ্ছেদের ভয় বেড়ে যেতে পারে। এরকমটা চলতে থাকলে একজন ম্যারেজ কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন। কারণ প্রফেশনাল ম্যারেজ কাউন্সেলরের পক্ষেই এমন ঘটনার সঠিক চিত্র অনুভব করা সম্ভব। তিনি সঠিক পরামর্শ দিয়ে আপনাদের সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবেন।