গভীর রাতে রিকশায় করে বাসায় ফেরার পথে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছয় দুর্বৃত্তের কবলে পড়েন ২৮ বছর বয়সী এক নারী। রিকশাওয়ালাকে তাড়িয়ে ওই নারীকে সড়কের পাশে নিয়ে চড়াও হয়েছিলেন তাঁরা। তখন রিকশাওয়ালা কিছুদূর এগিয়ে আরেক রিকশাওয়ালাকে ঘটনা খুলে বলেন। আবদুল হান্নান নামের ওই রিকশাওয়ালা তখন ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশ এসে আক্রান্ত নারীকে উদ্ধার এবং তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। গত রোববার রাতে দল বেঁধে ধর্ষণের এই ঘটনার পর আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯৯৯–এ ফোন করার কথা কীভাবে মনে এল, জানতে চাইলে রিকশাচালক আবদুল হান্নান (৩০) আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা না থাকলেও কোনো রকমে বাংলা পড়তে পারেন তিনি। বিভিন্ন গাড়ির পেছনের লেখাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন। এভাবেই তিনি জানতে পারেন, ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায়। বিষয়টি তাঁর বিশ্বাসযোগ্য হয় চার বছর আগে এক পথচারী ৯৯৯ কল দেওয়ার পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ পুলিশ এসে নিয়ে যেতে দেখে।
এই ঘটনায় পুলিশের সহায়তা চাওয়ার বিষয়ে এই রিকশাচালক বলেন, ‘ওই নারীর জায়গায় আমার বোন, মা, স্ত্রী কিংবা কোনো আত্মীয় হতে পারতেন। ইজ্জত বাঁচানোর জন্য ফোন দিয়েছি।’