ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বেতবাড়ী গ্রামের হাবিবুল বাহার সুজন। আশৈশব কৃষিই তার ধ্যান-জ্ঞান। ¯ু‹লে পড়ার সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে কৃষকের নানারকম সাফল্যের গল্প দেখে মনে মনে পণ করেছিলেন কৃষিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেবেন, নিলেনও তাই। তবে সাফল্য তো সহজ বিষয় নয়। সাফল্য লাভে হতে হয় কুশলতাসম্পন্ন। জানতে হয় প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার কৌশল। আজ আপনাদের সেই সুজনের গল্পই বলব পাঠক।
সুজনের শুরুটা একেবারে শূন্য থেকে। কখনো বেগুন চাষ করে কিংবা কলার গাছ লাগিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছিলেন কৃষি অর্থনীতির হিসাব-নিকাশ। বুঝলেন শুরু করতে হবে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে। তাই পাঁচশ ব্রয়লার মুরগি এবং ত্রিশটা লেয়ার মুরগি নিয়ে শুরু করলেন পোলট্রি খামার। খামার গড়ার পাশাপাশি খামারসংক্রান্ত জ্ঞানের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিলেন সবখানে। পত্রিকার কাগজ কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছেন খামারসংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোতে। কখনো বড় খামারের সন্ধান পেলেই ছুটে গেছেন। নিজের সমস্যাগুলোর সমাধান মিলিয়ে নিয়েছেন অভিজ্ঞজনের পরামর্শে। মুরগি খামারের পাশাপাশি নতুন কিছু করতে চাইলেন। চিন্তা করলেন, মুরগি যদি খাঁচায় লালন-পালন করা যায়, হাঁস কেন নয়! পুকুরের ওপর মাচা তৈরি করে গড়ে তুললেন আধুনিক হাঁসের খামার। শুরু করলেন মাছের চাষও। কারণ ইতোমধ্যে তিনি বুঝে গেছেন কৃষিতে বহুমুখী না হলে লাভের অঙ্ক ক্রমেই কমতে থাকে। আমি তার হাঁসের খামারের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করেছিলাম। তখনই বুঝতে পেরেছি সুজন এক অদম্য তরুণ। এ গল্পের বয়সও প্রায় বছর দশেক হতে চলল। এই সময়ে সুজন কতটুকু এগিয়েছেন, আধুনিক কৃষি নিয়ে কী ভাবছেন?