মানুষের ওষুধে গরু ছাগলের চিকিৎসা

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২, ০৮:৪০

ক্ষুদ্র ব্যবসার পাশাপাশি সম্প্রতি বাড়িতে দুটি ছাগল ও কয়েকটি মুরগি পালন শুরু করেছেন ঢাকার সাভারের শ্যামলাসী এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই একটি ছাগলের নাক দিয়ে পানি পড়তে শুরু করলে এক প্রতিবেশীর পরামর্শে ফার্মেসি থেকে নাপা ট্যাবলেট কিনে ছাগলটিকে খাইয়ে দেন হাসান। ওই এলাকার অনেকেই নিজেদের পালিত গবাদি পশুপাখির অসুখ-বিসুখে মানুষের জন্য উৎপাদিত ওষুধ কিনে খাওয়ায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এমন দৃশ্য চোখে পড়ে হরহামেশাই।


অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাঁস-মুরগির জ্বর বা রানীক্ষেত রোগ হলে মানুষের জন্য উৎপাদিত প্যারাসিটামলজাতীয় ট্যাবলেট গুঁড়া করে গরম ভাতের সঙ্গে খাওয়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া গরু-ছাগলের পেটের সমস্যায় খাওয়ানো হয় অ্যামোডিস-মেট্রো জাতীয় ওষুধ, জ্বর-ঠাণ্ডার জন্য সিপ্রোসিন নামের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে হরহামেশা। গবাদি পশুর শরীর ফোলা কমানোর জন্য খাওয়ানো হচ্ছে ফুসিড-৪০ নামের একটি ওষুধ, পশুকে মোটাতাজাকরণের জন্য খাওয়ানো হচ্ছে ডেক্সামেথাসন, পশু ব্যথা পেলে খাওয়ানো হচ্ছে ডাইক্লোফেনাকজাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ। এ ছাড়া টেট্রাসাইক্লিন, জিংক, ভিটামিনসহ আরো কয়েক প্রকার ওষুধ পশুপাখিকে খাওয়ানো হচ্ছে, যেগুলো উৎপাদিত হয়েছে মানবদেহের জন্য।   পশুপাখিকে এসব ওষুধ খাওয়ানো হয় মানুষের দ্বিগুণ ডোজ।


ওষুধ বিশেষজ্ঞদের মতে, নীতিগতভাবে এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। তাঁদের মতে, মানুষের ওষুধ পশুপাখিকে খাওয়ালে তাত্ক্ষণিকভাবে উপকার মিলতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us