সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শুধু ত্বকেরই ক্ষতি করে না, চুলকেও নানাভাবে ড্যামেজ করে দেয়। হারায় চুলের জৌলুস। তাই রোদে যাওয়ার আগে ও পরে কিছু সতকর্তা মানা উচিত। পরামর্শ দিয়েছেন বিন্দিয়া বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
ঘর থেকে বাইরে বেরোলেই রোদের তাপে অস্থির হতে হচ্ছে সবাইকে। হঠাত্ এক-আধটু বৃষ্টির দেখা হয়তো পাওয়া যায়। আবার পরক্ষণেই তেতে উঠে রোদ। তীব্র রোদে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বক ও চুল।
রোদে পুড়ে কারো কারো চুল লালচে ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। রুক্ষতা ও ভঙ্গুরতা দেখা দেয়। চুল হয়ে পড়ে প্রাণহীন ও অনুজ্জ্বল। রোদে মাথার ত্বক ঘেমে বাইরের ধুলা-ময়লার সংমিশ্রণে চুলে জন্ম নেয় ময়লা ও খুশকি। বাজে চুলের বারোটা। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চুলের জন্যও ক্ষতিকর। এ জন্য রোদের এই সময়টাতে ভিন্নভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে।
সানবার্ন প্রতিরোধ
জোজোবা অয়েল, প্রোটিনসমৃদ্ধ ডিপ কন্ডিশনার রোদে পোড়া চুল রক্ষায় দারুণ সহায়ক। গরমের সময় ইউভি প্রটেক্টিভ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। গরমে চুলের ডগা ফেটে যাওয়া বা রোদে পোড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে চুল ট্রিম করিয়ে নিতে পারেন। হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মোটকথা, রোদকে ভয় করা যাবে না। মোকাবেলা করতে হবে। বাইরে বেরোনোর আগে চুলে ইউভিএফসমৃদ্ধ সান প্রটেক্টর ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ৩০ বা তারও অধিক ইউভিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন সান প্রটেক্টর ক্রিম চুলের সুরক্ষায় বেশি কাজ করে। রোদে গেলে চুল ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। এতে রোদ ও ধুলা-ময়লা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। রোদে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন। ক্যাপ, ওড়না বা স্কার্ফও ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লিচ ব্যবহার
এ সময় সমুদ্রসৈকত বা পাহাড় ঘুরতে যাওয়ার আগে চুল রং করা যাবে না। ঘুরতে গিয়ে চুলে রোদ লাগানো যাবে না। রোদের অতিবেগুনি রশ্মি চুলে ব্লিচের মতোই ক্ষতিকর। রঙের ক্ষতিকর উপাদান চুলের মেলানিনের সঙ্গে মিশে যায়। এতে চুল আসল রং হারিয়ে অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। ব্লিচ চুলের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান প্রোটিনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে চুল রোদে আরো নাজুক হয়ে পড়ে।