সিলেটের গোয়ানইঘাটে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আব্দুল কাদির নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার পর তার বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় পিটিয়ে আহত করা হয় ওই যুবকের মাসহ পরিবারের ৭ সদস্যকে। রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে ওই যুবকের মা হাসিনা বেগম (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবারের এ ঘটনায় শনিবার প্রধান অভিযুক্তসহ ১২ জনকে আটক করে পুলিশ।
পরে তাদের মধ্যে ৯ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আটক অপর তিনজনের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও একজন নৌবাহিনীর সদস্য হওয়ায় তিনি ওই বাহিনীর হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া রোববার বিকেলে আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এনিয়ে ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, রোমহর্ষক এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারে থানা পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। আলোচিত এ ঘটনায় বাদী পক্ষের সবাই আহত থাকায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। থানা পুলিশের একাধিক দলের অভিযানে শনিবার আটক ৯ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, হাসিনা বেগম (৬০) নামের ওই নারী রোববার (১৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।