করোনার নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহ কমছে। লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে সেগুলো সাধারণ সর্দি, জ্বর বা মৌসুমি রোগব্যাধি মনে করে পরীক্ষা করাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ফলে করোনার বাস্তব চিত্র মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে গোলকধাঁধায় দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছেও দেশে ভাইরাসের গতি-প্রকৃতির সঠিক কোনো চিত্র নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের হারের ওপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণ করা হয়। টেস্টের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বাস্তবের সঙ্গে সরকারের দেওয়া করোনার তথ্যের মিল নেই। ফলে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়ে দায় এড়িয়েছে সরকার। এ ছাড়া ওমিক্রনের উপধরনের উপসর্গ মৃদু হওয়ায় আক্রান্ত অনেকের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। ফলে একটি পরিবারের সবাই সংক্রমিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা বলছেন, গ্রাম থেকে উপজেলা শহরে গিয়ে পরীক্ষা করানো, যাতায়াত ব্যয়, যোগাযোগ সহজ না হওয়াসহ নানা কারণে নমুনা পরীক্ষায় বেশি পিছিয়ে থাকছেন গ্রাম এলাকার মানুষ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট এলে পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে। এ বিষয়ে এখনই বিশেষ নজর দিতে হবে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। দৈনিক ৫০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু মানুষ আগ্রহী না হওয়ায় তারা অলস সময় পার করছে।