বর্তমানে নারীদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। গর্ভধারণ বা সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। এর জন্য বেশি দায়ী হতে পারে বয়স। বিশেষজ্ঞদে মতে, বয়স ত্রিশ পার হলেই নারীর গর্ভধারণের ক্ষমতা কমতে থাকে। এছাড়াও কিছু পরিচিত অভ্যাস আছে যেগুলো গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই গর্ভধারণ করতে চাইলে কিছু অভ্যাস বদলানো জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অতিরিক্ত বা কম ওজন
গর্ভবতী হওয়ার জন্য ওজন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজনও হতে হবে আদর্শ। ওজন অতিরিক্ত হলে বা খুব কম হলে দুটোই গর্ভধারণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ওজন অতিরিক্ত (বডি মাস ইনডেক্স ৩০ বা তার বেশি) হলে গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে থাকতে পারে গর্ভপাতের ঝুঁকিও। এদিকে ওজন কম হলে ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা কমে যায়। এক্ষেত্রে বিএমআই ১৭ এর নিচে থাকলে ঝুঁকি বেশি থাকে। ১০,২৫,৭৯৪ জন নারীর ওপর প্রায় ৭৮টি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর ওজন কম হলে অকাল প্রসবের ঝুঁকি থাকে।
শরীরচর্চার অভাব
অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরচর্চা কম করা হলে তা প্রভাব ফেলতে পারে গর্ভধারণে। এদিকে অতিরিক্ত শরীরচর্চাও নারীর প্রজননে সমস্যা সৃষ্টি করে। কারণ এর ফলে প্রভাবিত হতে পারে ডিম্বস্ফোটন এবং মাসিক চক্র। অতিরিক্ত শরীরচর্চার কারণে প্রোজেস্টেরন হরমোনের উৎপাদনও কমে যায়।
ধূমপান
ধূমপানের মতো বদ অভ্যাস থাকলে তা গর্ভধারণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ধূমপানের কারণে ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা হ্রাস কমে যায়, ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ কমে যায় এবং অকালে ডিম্বানু ক্ষয়ে যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও ধূমপান বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। ধূমপান এবং মাদক গ্রহণ করলে শুক্রাণুর মান হ্রাস পায়।