চিঠির খামের আদলে নিজেদের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের নকশা করে সম্প্রতি বেশ আলোচনায় আসেন এক জুটি। খামের গায়ে সাঁটা ডাকটিকিটে বর-কনের ছবি। নিমন্ত্রণপত্রের এহেন অভিনব নকশা দেখে বেশ চমৎকৃতই হয়েছিলেন নিমন্ত্রিতরা। গত বছর আসামের গুয়াহাটির এক আইনজীবী সংবিধানের আদলে বানিয়েছিলেন তাঁর বিয়ের কার্ড। তাতে উল্লেখ ছিল বিয়ের অধিকার–সম্পর্কিত সংবিধানের ধারা।
বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের এত সব অভিনব নকশা দেখে একটা মৌলিক প্রশ্ন মনে জাগে, বিয়ের দাওয়াতপত্রের ধারণা এল কীভাবে? মধ্যযুগে বিয়ের দাওয়াত দিতেন নগরঘোষক। চিৎকার করে বিয়ের সংবাদ ঘোষণা করতেন তাঁরা। শ্রবণ দূরত্বের মধ্যে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীরাই কেবল সে দাওয়াত পেত। ১৪০০ শতাব্দীতে ছাপাখানা আবিষ্কৃত হলেও বিয়ের কার্ড আসতে আসতে আরও ৩০০ বছর লেগে যায়। ১৭০০ শতাব্দীতে এসে চালু হয় ধাতুনির্মিত বিয়ের কার্ডের রীতি। ধাতুর ফলকে খোদাই করা থাকত প্রয়োজনীয় বার্তা। সেই কার্ডই বিবর্তিত হতে হতে আজকের অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। তবে এই বঙ্গদেশে কার্ড দিয়ে বিয়ের দাওয়াত দেওয়ার চল শুরু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়। আর আজকাল তো কার্ড ছাড়া বিয়ের দাওয়াত কল্পনা করাই কঠিন।
আজ ১৬ জুলাই, বিয়ের নিমন্ত্রণ দিবস। নিমন্ত্রণপত্রের দারুণ সব নকশা করে বিবাহ অনুষ্ঠানকে অধিকতর উপভোগ্য ও স্মরণীয় করে তোলেন যে নকশাকারীরা, তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে এই দিবস। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বিয়ের কার্ডের ডিজাইন প্রতিষ্ঠান পাম্পকিন কোচ ইনভাইটসের উদ্যোগে ২০১৯ সালে দিবসটির চল হয়।