বাগেরহাটে বাল্যবিয়ে দেয়ার অভিযোগে বিবাহ নিবন্ধক (বিবাহ রেজিস্টার) ও দুই অভিভাবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার রাতে শহরের নাগেরবাজার বিবাহ রেজিস্টার কাজী আতাউল বারীর কার্যালয়ে এই দণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম।
শনিবার সকালে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন- শহরের নাগেরবাজার এলাকার বিবাহ রেজিস্টার কাজী আতাউল বারী, মেয়ের বাবা সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কবির সরদার এবং একই উপজেলার গোবরদিয়া গ্রামের সজিব হালদার।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম সকালে বলেন, বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকায় অবস্থিত বিবাহ রেজিস্টার কাজী আতাউল বারীর কার্যালয়ে দুই অভিভাবক তাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে আসেন। এই খবর পেয়ে আমি সেখানে পৌঁছে তাদের জন্মনিবন্ধনের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখি তাদের বয়স কম। বিবাহ রেজিস্টার আতাউল বারী তার বিবাহ রেজিস্টারে এই ছেলেমেয়ের নাম নিববন্ধন না করেই সাদা একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন। বিবাহ রেজিস্টারে পরে তুলবেন যা দণ্ডনীয় অপরাধ। ছেলে এবং মেয়ের বাবা তাদের সন্তানদের প্রকৃত বয়স গোপণ করে এই বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তাই তাদের ২০১৭ সালের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে সরকারের নিবন্ধিত বিবাহ রেজিস্টার এবং ছেলে ও মেয়ের বাবা প্রত্যেককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। শনিবার সকালে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।