বিশ্ববাজারে রান্নার সয়াবিন ও পাম তেলের দামে ধস নেমেছে। দেড় থেকে দুই মাসের ব্যবধানে সয়াবিনের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ আর পাম তেলের দাম কমেছে ৪৮ শতাংশ। বিশ্ববাজারের প্রভাবে পাইকারি বাজারে খোলা ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। খুচরা পর্যায়ে খোলা তেলের দাম কমলেও বোতলজাত তেলের দাম এখনো সেভাবে কমেনি। সরকার যে হিসাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করে, সেই হিসাবে বিশ্ববাজারের প্রভাব পড়তে আরও অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিশোধনকারীরা।
বিশ্ববাজারের এবারের ধস ২০০৮ সালকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ ধসের দুটি দিক রয়েছে। এক. ভোক্তাদের জন্য সুখবর আসছে। সামনে আরও বেশি দামে তেল কিনতে হবে না। দুই. হঠাৎ ধসের কারণে আমদানিকারক থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আগে বিক্রি করা তেলের আমদানি দায়। আগে বিক্রি করে মুনাফা করলেও শুধু ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায় সেখানেও লোকসান গুনতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।