বাজারে ছাগলের মাংস সবচেয়ে দামি হলেও কোরবানির এই পশুর চামড়া মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। জাপানসহ বেশ কিছু দেশে ছাগলের চামড়াজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা থাকলেও অযত্নে-অবহেলায় সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ফলে কম দামে গরুর চামড়া বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া একেবারেই বিক্রি হচ্ছে না। এবার কোরবানিতে বাধ্য হয়ে কেউ ছাগলের চামড়া মাটিতে পুঁতেছে, কেউ বা ফেলে দিয়েছে নদীতে।
দাম না থাকায় বিনা মূল্যে পাইকারদের কাছে ফেলে রেখে গেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ছাগলের চামড়া কেনাবেচায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছিল, তা-ও কেউ মানেনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার দেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে ছাগল ও ভেড়া কোরবানি হয়েছে ৪২ লাখ ২০ হাজার ৮২০টি। তবে কতগুলো ভেড়া, তা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়নি।
সাধারণত বড় আকারের একটি খাসির চামড়া পাঁচ বর্গফুট হয়। সেই হিসাবে লবণযুক্ত একটি চামড়ার দাম হওয়ার কথা ১২০ টাকা। কোরবানি দেওয়া ৪২ লাখ ২০ হাজার ৮২০টি ছাগল ও ভেড়ার চামড়ার দাম প্রতিটি ১২০ টাকা করে ধরলে ৫০ কোটি টাকার বেশি হয়। কিন্তু চামড়া যথাযথভাবে বিক্রি না হওয়ায় এই অর্থের বড় অংশই কোরবানির অর্থনীতির বাইরে থেকে গেছে।
এবার সরকারের পক্ষ থেকে গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে বাড়িয়ে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৪৪ টাকা। এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা। পাশাপাশি বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা, গত বছর যা একই ছিল।