স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার বিষয়টা শুধুই বয়সের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
রাশ ইউনিভার্সিটি মেডিকাল সেন্টার’য়ের ‘নিউরোসাইকোলজিস্ট ড. রবার্ট এস. উইলসন বলেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে মৃদুমাত্রায় স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার ঘটনা আসলে ‘ডিমেনশা’ বা স্মৃতিভ্রংশের প্রাথমিক লক্ষণ।”
ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “এই ভুলের যাওয়ার মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে। ‘আলৎঝাইমার’স’ ও অন্যান্য ‘ডিমেনশা’ ধাঁচের রোগগুলো বৃদ্ধ বয়সে যে পরিমাণে মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব রাখে তা পুরোপুরি এখনও আমরা বুঝে উঠতে পারিনি।”
মাথায় আঘাত
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউরোলজি অ্যাট পেন’য়ের সহকারী অধ্যাপক ড. অ্যান্ড্রেয়া এল.সি. স্নাইডার বলেন, “তীব্রতা ভেদে মাথায় আঘাত পাওয়া থেকে ‘অ্যামনিসা’ বা স্মৃতিবিলোপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তা হতে পারে চিরস্থায়ী। পরে সেটাই হতে পারে ‘ডিমেনশা’র কারণ।”
তবে একে প্রতিরোধ করা সম্ভব। মাথায় কতবার আঘাত পাচ্ছে একজন মানুষ সেই সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যত বেশি আঘাত, ততই ‘ডিমেনশা’র আশঙ্কা বেশি।”
মানসিক আঘাত
নিউ ইয়র্কের সনদস্বীকৃত মনবিজ্ঞানি ফাবিয়ানা ফ্রাঙ্কো বলেন, “মানসিক আঘাত থেকে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হতে পারে। তা হতে পারে ক্ষণস্থায়ী কিংবা চিরস্থায়ী।”