টিফিন নিয়ে শিশুদের বায়নার শেষ নেই। মুখোরোচক কোনও খাবার না দিলে তারা টিফিন ফেরত নিয়ে আসে। এ কারণে মায়েদের সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা কর্মজীবী মা তারা আরও বেকায়দায় পড়েন। কারণ প্রতিদিন সকালে শিশুর জন্য নিত্যনতুন সুস্বাদু আবার স্বাস্থ্যকর খাবার বানানো বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আবার কী বানাবেন সেটাও চিন্তার বিষয়। এজন্য কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. সকালের নাশতা সারাদিনের মধ্যে সবচেয়ে জরুরি খাবার। খেয়াল রাখুন সন্তানের নাশতা যেন একটু ভারী এবং স্বাস্থ্যকর হয়। সকালবেলা স্কুলে যাওয়ার আগে ভরপেট স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে বিপাকক্রিয়া জোরেসোড়ে কাজ শুরু করে, ফলে মস্তিষ্কও সক্রিয় থাকে। এক্ষেত্রে ভাত বা রুটি খেলে খুবই ভালো। না হলে সবজির পুরভরা পুলি, দুধ-কর্নফ্লেক্স, প্যানকেক, চিকেন বা ডিম রাখতে পারে। অর্থাৎ চেষ্টা করুন সকালের নাশতায় যেন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট তিনটেই থাকে। এরপর শিশু যদি টিফিন আগ্রহ করে না খায় অতটা চিন্তা থাকে না।
২. শিশুদের মধ্যে ভাল খাবার খাওয়ার সুঅভ্যাস গড়ে তুলুন। সারাদিনে একটা ফল, প্রত্যেক বেলা খাবারের সঙ্গে একটু সালাদ খাওয়ার মতো অভ্যাস করান। ফ্রিজে কোমল পানীয়র পরিবর্তে ফ্রুট জুস, ফ্লেভার্ড মিল্ক, দই রাখুন। বাইরে গেলেই ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন। এভাবেই দেখবেন সন্তানের মধ্যেও ভাল খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে।
৩. শিশুকে এমন খাবার টিফিনে দিন যাতে সে সহজে এবং তাড়াতাড়ি খেতে পারে। মনে রাখবেন, টিফিন পিরিয়ডটা বাচ্চাদের খেলারও সময়। এ সময় রুটি ভাজি বা ভারী খাবার খেলে তার সময় চলে যাবে। তাই রুটি দিলে ভিতরে তরকারি ভরে রোল করে দিন, যাতে হাতে ধরে খেতে পারে। টিফিনবক্সে সব সময় চামচ এবং কাঁটা দিয়ে দেবেন। ভাজা জাতীয় খাবার দিলে টিস্যু পেপার দিন।