বড় বড় বস্তা ভর্তি বই পিঠে স্কুলে যায় আমাদের সন্তানেরা। শিক্ষার ভারে ওরা মেরুদণ্ড সোজা করে আর দাঁড়াতে পারে না। দাঁড়াতে শেখেও না। তবু বোকা অভিভাবক আমরা, খুশি হই গর্বিত হই। কয়েক বছর বাদেই হতাশার সাগরে ডুবতে থাকি। কপাল চাপড়াই। হায় একি শিক্ষায় শিক্ষিত আমার সন্তান! উদ্ধত, মারমুখো, বেয়াড়াপনায় পারদর্শী এই কি আমাদের সন্তান! হবে নাইবা কেন?
যখন বস্তা ভর্তি বই নিয়ে চলেছে যে বিদ্যালয়ে আমরাতো কেউ প্রশ্ন তুলিনি কী আসলে আছে বস্তার ভেতরে, শিক্ষা নাকি অন্য কিছু! শুধু পাঠ্য বই-ই কি যথেষ্ট একটি মানুষ গড়ার জন্য নাকি আরও কিছু উপাদান প্রয়োজন! আর স্কুল পাঠ্য বই বিষয়ই বা কি ধরনের উপাদান সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন তার হিসাবনিকাশও কি আমরা অভিভাবকেরা সচেতনভাবে করেছি কখনো!
আদতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাই হয়ে গেছে একেবারে অন্তঃসার শূন্য। তা না হলে ছাত্রের হাতে শিক্ষক হত্যার মতো ঘটনা সমাজ মানানসই কোনো ঘটনা?
আমাদের বরং রাষ্ট্রের কাছে রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাছে প্রশ্ন তোলা উচিত এবং বিচার দাবি করা উচিত আমার সন্তান হত্যাকারী কেন? কী এমন আছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যা আমার সন্তানকে আদৌ একজন ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারছে না?
কী এমন ভাষাগত দুর্বলতা আছে আমাদের রাজনৈতিক চর্চায় যা আমার সন্তানের রক্তে ড্রাগের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে! আস্থা করছে তাদের ব্যক্তি সত্ত্বায়! কী এমন উপকরণ আমাদের মস্তিষ্কে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যার কারণে আমি এবং আমার সন্তান খুব সহজেই যে কারুর হন্তারক হয়ে উঠেছি!