কুমিল্লার তিতাস উপজেলার গাজীপুর গ্রামের সদ্য প্রয়াত এক ব্যক্তির ঘর থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম আমির হোসেন মুন্সী ওরফে ‘বিষ পাগলা’। তবে স্থানীয়রা তাঁকে ‘বিষা পাগলা’ বলেই ডাকতেন। ওই গ্রামের মাজার বাড়ির বাসিন্দা ‘বিষ পাগলা’র ঘরে নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
চিরকুমার ‘বিষ পাগলা’ একজন আধ্যাত্বিক সাধক ছিলেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ভক্তরাই তাঁকে এসব টাকা ও স্বর্ণালংকার উপহার দিয়েছে। বুধবার তিতাস থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তির ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গণনা করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ জুলাই উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত নসু মুন্সীর ছেলে মো. আমির হোসেন মুন্সী ওরফে বিষ পাগলা ৫৫ বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে মারা যায়। অবিবাহিত জীবনে বিষ পাগলা একাই একটি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন।
ঈদের কারণে তাৎক্ষণিক তার বসবাসের ঘরে কেউ প্রবেশ না করলেও ঈদের পর গতকাল মঙ্গলবার তার আত্মীয়-স্বজন ঘরটি পরিষ্কার করতে যায়। ঘর পরিষ্কারের এক পর্যায়ে আলমারি খুললে তাতে সাজানো টাকার ব্যান্ডেল দেখতে পায় স্বজনরা। বিষয়টি তাঁরা তাৎক্ষণিক এলাকার গণ্যমান্য ও জনপ্রতিনিধিদের জানান তারা। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাতে ঘরটি তালাবন্ধ করে রাখা হয়। এদিকে, বুধবার বেলা ১১টায় বিষ পাগলার বাড়িতে তিতাস থানা পুলিশের একটি টিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, কুমিল্লা (উত্তর) জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন বাবু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদ, বলরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর নবী, বিষ পাগলার বোন মুর্শিদা আক্তার, বড় ভাই আউয়াদ মুন্সিসহ গাজীপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘরের তালা খুলে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ মিনিট মেশিনের মাধ্যমে টাকা গণনা করে পুনরায় টাকাসহ ঘর তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়।