দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষকে নিয়ে, ওই গুণিজনদের সম্বন্ধে কম জানা কারও লেখা আমি সমীচীন মনে করি না।
কারণ কারও সম্বন্ধে আলোচনাই হোক, আর সমালোচনাই হোক কিংবা একপেশে প্রশংসাই হোক-নৈর্ব্যক্তিকভাবে (অবজেকটিভ) লিখতে না পারলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
তারপর আবার মৃত্যু-পরবর্তী লেখা তো আরও কঠিন। কারও কারও ধারণা-মৃত ব্যক্তি সম্বন্ধে লেখা সহজ, কেননা তিনি তো আর ওই লেখা সম্পর্কে বাদ-প্রতিবাদ কিছুই করতে পারবেন না। আমি বলি, তজ্জন্যই মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে লেখা জীবিত কারও সম্পর্কে লেখা থেকে অনেক বেশি কষ্টকর এবং এতে উচ্চমাত্রায় দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন।
মিথ্যা স্তুতিবাক্য সংবলিত লেখায় হয়তো ক্ষতিকর কিছু আপাতদৃষ্টিতে দেখা যায় না; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ফলস্বরূপ ওইসব মিথ্যা প্রশংসা বরং ওই মৃত গুণিজনকে অসম্মানিত করারই শামিল বলা চলে।