স্বর্ণ চোরাচালান, মাদক ফেনসিডিল গাঁজা ও মানবপাচারের ঘটনা সম্প্রতি ভাবিয়ে তুলেছে প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে। দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দুই বাহিনী নিজেদের মত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবার পরও অপরাধীরা নানা ফাঁকফোকরে চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া কিংবা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সীমান্তবর্তী এলাকার অপরাধীরা সময় সুযোগ বুঝে বিভিন্ন জিনিসপত্র পাচার করছে। বিশেষ করে স্বর্ণ এমনই একটি ছোট জিনিস যার পাচারের ক্ষেত্রে স্পেসিফিক তথ্য না থাকলে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। বহন করে পাচারে অধিক লাভ হয় সেজন্য তৎপর কারবারীরা। প্রতিবার স্বর্ণ পাচারে সফল হলে তাদের লাভ থাকে লাখ টাকা করে। আর এই স্বর্ণ পাচারের ক্ষেত্রে ক্যারিয়াররা (বহনকারী) অনেক লাভবান হয় যে কারণে সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরা চালানের সংখ্যা বেড়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি অভিযানে চলতি বছরের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ৫৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। ২০২১ সালে প্রায় ৫১ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। ২০২০ সালে ৮৭ কেজি ৭৬৬ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এদিকে, চলতি বছরের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ এর সাউথ বেঙ্গল রিজিয়নে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। যা গত বছর উদ্ধারের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩১ কেজি। ২০২০ সালে স্বর্ণ উদ্ধারের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩২ কেজি।