কোরবানির ঈদে সবাই মাংস ভাগাভাগি, রান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এরপর বাকী মাংসটা সংরক্ষণ করেন নিজেদের জন্য। বেশিরভাগ মানুষই আজকাল ফ্রিজে মাংস রেখে খান দীর্ঘদিন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ফ্রিজে মাংস রেখে খেলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর রাখলেও ঠিক পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করা উচিত। ফ্রিজ ছাড়াও এই ঈদে মাংস সংরক্ষণ করতে পারেন কয়েকটি পদ্ধতিতে। যেমন-
১. আগের দিনে যখন ফ্রিজ ছিল না তখন মাংস উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বাল দিয়ে সংরক্ষণ করা হতো। চাইলে এখনও এই পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৬ ঘণ্টা পর পর মাংসটি জ্বাল দিতে হবে, না হলে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
২. মাংস রোদে শুকিয়েও সংরক্ষণ করা যায় দীর্ঘদিন। এজন্য মাংসগুলো মাঝারি আকারে কেটে নিন। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। মাংসের সঙ্গে থাকা চর্বিগুলো কেটে ফেলুন। এরপর মাংসের পানি নিংড়ে যথেষ্ট পরিমাণে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে নিন। এরপর ডুবো পানিতে সেই মাংস কিছুক্ষণ সিদ্ধ করতে হবে। মাংস আধা সিদ্ধ হলে পানি ছেঁকে শিকে গেঁথে রোদে দিয়ে রাখুন। একটানা ৪-৭ দিন শুকিয়ে নিন। বাইরের ধুলোবালি থেকে মাংসগুলোকে বাঁচাতে পাতলা কাপড় পেঁচিয়ে দিতে পারেন। মাংস ভালোভাবে শুকালে এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ রাখুন। রান্নার সময় শুকনো এই মাংস হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে রান্না করুন।
৩. লেবু ও লবণ দিয়েও মাংস সংরক্ষণ করা যায়। এক্ষেত্রে প্রথমে মাংসগুলো মাঝারি আকারে কেটে হালকাভাবে ছেঁচে নেন। এরপর লবণ ও লেবুর রসে ঘণ্টাখানেক ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে মাংস কয়েকদিন পর্যন্ত ভালো রাখা যায়।