শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসে আমরাই দায়ী

দেশ রূপান্তর মাছুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২২, ১৫:৪৮

ময়মনসিংহের একজন শিক্ষক তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ক্লাসরুম কন্ট্রোল করা যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করার মতো অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাসের সামনের সারির অল্প কয়েকজন কিছু শিক্ষকের কথা শুনলেও পেছনের দিকের সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকে। বারবার অনুরোধ করার পরেও এক-দুই মিনিটের জন্য শান্ত হলেও শিক্ষক যখন আবার পড়াতে শুরু করেন, তারাও আবার আগের মতো নিজেদের আলাপচারিতায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।’ তিনি আরও লিখেছেন ‘আমরাও তো এক দিন ছাত্র ছিলাম। শিক্ষকরা ক্লাসে এলে সবাই শান্ত হয়ে যেতাম। স্যার যা ক্লাসে বলতেন তাই করতাম। আজকের এই উল্টো চিত্রের জন্য দায়ী কে? শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে চায় না, এলেও ক্লাসরুমে যেতে চায় না, ক্লাসরুমে যারা যায় তারাও ক্লাস লেকচার শোনার প্রতি মনোযোগী হয় না। লেকচার শোনার পরিবর্তে স্মার্টফোন ও ফেইসবুকে চ্যাটিংয়ে অনেক বেশি মনোযোগী।’


সমাজের অসংগতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার প্রভাব সবই উঠে এসেছে শিক্ষকের লেখায়। শিক্ষার্থীরা বর্তমানে পড়লেও পাস করে, না পড়লেও পাস করে উচ্চতর গ্রেডসহ। সেখানে তারা পড়বে কেন? আর শ্রেণিকক্ষে লেকচারের চেয়ে ফেইসবুক-ইউটিউবের আকর্ষণ অনেক বেশি ওই বয়সের এবং বর্তমান সমাজের বাসিন্দা হয়ে তারা কেন ক্লাস লেকচার শুনবে। তারা যদি জানে বা বোঝে, তাদের শ্রেণিকক্ষের পড়া না পড়লে, শিক্ষকের ক্লাস না করলে কোনোভাবেই পাস করতে পারবে না। আবার পরীক্ষায় কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করা যাবে না। এগুলোর কোনোটিই নেই। তাই তারা ক্লাস করে না, পড়ে না। পরীক্ষার জন্য মোটেই চিন্তিত নয়। এগুলোর সব সমাধান করা আলাদাভাবে একজন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ওই শিক্ষক এসব কথা লিখেছেন, যা আজ প্রায় সব শিক্ষকেরই কথা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us