উন্নত মুসলিম দেশগুলোয় কোরবানির জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। যিনি বা যাঁরা কোরবানি দেবেন, তিনি বা তাঁরা নিজেদের পালিত পশু বা পছন্দসই গৃহপালিত পশু ক্রয় করে নির্ধারিত স্থানে দিয়ে দেন। ঈদের দিন পশুগুলোকে সরকারিভাবে হালাল ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে জবাই করে, চামড়া, হাড়-মাংস ও বর্জ্য আলাদা করে, শুধু হাড়-মাংস পশুর মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অতঃপর চামড়া প্রক্রিয়াজাতের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রান্নার অনুপযুক্ত হাড় ও অন্য বর্জ্যগুলো সঠিকভাবে ডাম্পিং বা পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এতে পরিবেশ যেমন সুন্দর থাকে, পাশাপাশি কোরবানির মাংস রোগ-জীবাণুমুক্ত থাকে।
কিন্তু কোরবানিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট পুরোটাই উল্টা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা নিজেরাই নিজেদের পশু জবাই করি। অতঃপর চামড়া, হাড়-মাংস ও বর্জ্য আলাদা করি। কাজে দক্ষতা না থাকায় এবং অসাবধানতাবশত মাংসে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে; অদক্ষ হাতের কারণে চামড়ার গুণগত মান নষ্ট হয় এবং সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, পরিবেশ দূষণ হয়। যত্রতত্র পশুর মলমূত্র, পশুর অবশিষ্ট খাদ্য, জবাই করা পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, পাকস্থলীর বর্জ্য, হাড়, শিং, কান, মাথার চামড়া এবং রক্তে সিক্ত থাকা চাটাই (পাটি) ইত্যাদি আমরা যেখানে-সেখানে ফেলে রাখি। ফলে নোংরা হয় পরিবেশ।