দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। ঈদ ঘিরে পশুর হাট, শপিংমল, গণপরিবহণ সবখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
ভাইরাসটি রোধে সরকারের একাধিক বিভাগ বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে। কিন্তু কোথাও ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এতে করে বিশেষজ্ঞরা করোনার সামাজিক সংক্রমণ ব্যাপক ভিত্তিতে ছড়িয়ে পড়াসহ মৃত্যুঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা করছেন।
যুগান্তরকে তারা জানান, শুধু দায়সারা নির্দেশনা দিলে হবে না। এটি বাস্তবায়ন না করতে না পারলে ঈদ-পরবর্তীতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর লাগাম টানা চ্যালেঞ্জ হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের দাবি-করোনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ মোকাবিলাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে ২৯ দফা সুপারিশ বা নির্দেশনা দিয়েছে।
এসব নির্দেশনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপনের কথা বলা হয়েছে। সব দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় করে করোনা মোকাবিলায় নেওয়া উদ্যোগুলো বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।
কুরবানি ঈদ কেন্দ্র করে সারা দেশে সাত হাজারের বেশি গরুর হাট বসেছে। হাটে প্রবেশের আগে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হলেও শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ তা মানছে না।
হাটগুলোতে হাত ধোয়ার জন্য সাবান পানির ব্যবস্থা নেই। কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক করোনার এন্টিজেন পরীক্ষার সুযোগ রাখা হয়নি। অন্য দিকে কেনাকাটার জন্য শপিংমল ও বাজারগুলোতে মানুষের চাপ বাড়লেও সেখানে জীবাণুনাশক টানেল বসানো হয়নি।