নৈতিক মূল্যবোধ ও শান্তির দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত জাপান। সেই দেশে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। হামলাকারী কিন্তু স্থানীয় লোকই। জাপানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক সদস্য। ৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি আবেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই গুলি করেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। কোনো কারণে তিনি আবের ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে কোন বিষয় নিয়ে তাঁর এমন অসন্তোষ, সেটি এখনো পরিষ্কার করেনি কর্তৃপক্ষ।
তবে শান্তির দেশ হলেও জাপানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এভাবে আক্রমণের শিকার হওয়ার ঘটনা কিন্তু এটিই প্রথম নয়। কয়েক দশকের মধ্যে বেশ কয়েকটি এমন প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। জাপানি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকের তথ্য অনুযায়ী—
১৯৯২ সালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট কানেমারু শিন বন্দুকধারীর হামলার শিকার হন। টোকিওর উত্তরে তচিগি প্রিফেকচারে বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই একজন বন্দুকধারী তাঁকে গুলি করেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে কানেমারু অক্ষত ছিলেন। এক ডানপন্থী সমর্থক এ হামলা চালায় বলে জানা যায়। শিনজো আবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।