দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমানো এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর জন্য জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। দৈনিক কর্মঘণ্টা ২ ঘন্টা কমানোর সুপারিশ করা হবে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সবগুলো বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রধান এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বেশ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। দামি তেলভিত্তিক ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবর্তে তখন সেগুলোকে কাজে লাগানো যাবে। উপদেষ্টা বলেন, অবশ্য এ সময়ের মধ্যে সব ধরনের সাশ্রয়ী নীতিকৌশল অবলম্বন করে বিদ্যুতের চাহিদা ১২ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা গেলে বিদ্যুতের সংকট অতটা হবে না। তৌফিক-ই-এলাহী আরও বলেন, আজকের সভায় যেটা সিদ্ধান্ত হলো, প্রত্যেককে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে।
বাজার-শপিংমল-মসজিদ-অফিস-আদালতে এসির ব্যবহার কমাতে হবে। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না। এছাড়া দোকানপাট ও শপিংমল তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হবে। এর আগে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।