সার্কুলার অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করতে সরকার এবং বেসরকারি খাতকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। গত সোমবার এইচএসবিসি বাংলাদেশ আয়োজিত 'সাসটেইনেবল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সলিউশনের মাধ্যমে সার্কুলার ইকোনমির পথে অগ্রযাত্রা' শিরোনামের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এমন মতামত দেন।
প্রসঙ্গত, সার্কুলার ইকোনমি প্রত্যয়টি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বেশ আলোচিত। এটি এমন একটা মডেল যা উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে পণ্যের পুনর্ব্যবহার, রিসাইকেলিং, পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কার্বন নিঃসরণ কমানো, সম্পদের সাশ্রয়ী ব্যবহার ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত।
এইচএসবিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে সাসটেইনেবল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাসটেইনেবল ফিন্যান্সে এশিয়ার শীর্ষ ব্যাংক হিসেবে এইচএসবিসি সার্কুলার ইকোনমির দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং সেরা কর্মপন্থাগুলো চর্চার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সহায়তা করতে বদ্ধপরিকর।
আলোচনায় প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, 'বর্জ্য পদার্থ দিয়ে পরিবেশকে দূষিত না করে প্রক্রিয়াজাত ও রিসাইকেল করার ক্ষেত্রে নিত্যনতুন উদ্ভাবনী পথ খুঁজে বের করতে হবে। বেসরকারি খাত, বহুজাতিক এবং দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বাজারজাত করা পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্যের দায়ভার এড়াতে পারে না।' স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মাধ্যমে একটি উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তুলতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, 'বিশ্বের ব্যবসাগুলো এবং বেসরকারি খাত একটি পুনরুদ্ধারমূলক অর্থনীতির দিকে রূপান্তরের জন্য একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। কপ-২৬-এ ঘোষিত নতুন দ্বিপক্ষীয় জলবায়ু ও পরিবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাজ্য এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার।'