যৌক্তিক কারণ দেখালে ঈদ যাত্রায় মোটরসাইকেল চালকদের বাধা দেবে না পুলিশ। তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ মোটরসাইকেলে বাড়ি যেতে পারবেন।
বুধবার পুলিশের ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় মোটরসাইকেল চলাচলের বিধি নিষেধের বিষয় নিয়ে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
এদিকে বিআরটিএ মোটরসাইকেলে চলাচলে যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তা জনরোষ তৈরি করবে বলে মনে করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই সিদ্ধান্ত বাস্তব সম্মত নয় বলেও মনে করছে তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের মধ্যে বাজে বার্তা যাচ্ছে। বিআরটিএর এ সিদ্ধান্তে জনরোষ তৈরি হবে। শতশত মানুষ ঈদের সময় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি যায়। পুলিশ কীভাবে তাদের ঠেকাবে। এটি বাস্তব সম্মত নয়। আমরা বিআরটিএকে জানিয়েছি, এ কাজ পুলিশের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকলে পুলিশ সেখানে সহায়তা করবে। বাড়ি যাওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে পুলিশ মোটরসাইকেল চালকদের ছেড়ে দেবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মোটরসাইকেল চালকদের আরেকটু সচেতন হওয়া উচিত। ঢাকার আশপাশের জেলায় ১ থেকে ২ ঘণ্টার দূরত্বের পথ তারা পাড়ি দিতে পারেন। একজন মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুর পর্যন্ত চলে যাবে— এটি ঠিক নয়। নিজের ও পরিবারের কথা ভাবতে হবে। ঈদের সময় মহাসড়কে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চালালে তার নিজের জন্য ঝুঁকি তৈরি হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল চালানো একজন মানুষের নাগরিক অধিকার। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যান। মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ সরকারি আদেশ। বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাড়া এটি প্রতিপালন পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জিং।