দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। চলতি মাসে দিনে গড়ে ৩৯ জন করে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই রাজধানীতে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ঈদের ছুটিতে মানুষ বাড়িতে গেলে সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়তে পারে ডেঙ্গু।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। তবে ঈদের ছুটিতে দেশের ৬৪ জেলার মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এ সময় কেউ ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে গ্রামে গেলে সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে অন্যদের মধ্যে। এ জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে মশারি ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে যাঁরা ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন, তাঁদের বাসাবাড়ির কোনো পাত্রে যাতে বৃষ্টির বা অন্য পানি জমতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
কবিরুল বাশার আরও জানান, ২০১৯ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ ছিল ঈদের ছুটিতে মানুষের গ্রামমুখী হওয়া। ওই বছর মৃত্যু ও শনাক্ত এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি হয়েছিল। ফলে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি ধারণা করছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ আগামী আগস্টে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। আবার সেটি সেপ্টেম্বরেও হতে পারে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪৩ জন এবং অন্যত্র তিনজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৫ দিনে দেশে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় ১৯৫ জন। অর্থাৎ গড়ে ৩৯ জন রোগী দৈনিক ভর্তি হচ্ছে। গত মে মাসের ৩১ দিনে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছিল ১৬৩ জন। আর জুনে ভর্তি হয়েছিল ৭৩৭ জন।