চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিক নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) একসঙ্গে ১৪টি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ দিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানো হবে। এই যন্ত্র বিশ্বের সব শীর্ষ সমুদ্রবন্দরেই দ্রুত পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এত দিন ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানো হচ্ছিল বন্দরের এনসিটিতে; গত মে মাসে দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন এরই মধ্যে পণ্য ওঠানো-নামানোয় যুক্ত হয়েছে।
গতকাল সোমবার পৌঁছানো আরো দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন বন্দরের বহরে যুক্ত হবে জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে।
অর্থাৎ জুলাই থেকেই ১৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে এনসিটির পাঁচটি জেটিতে পণ্য ওঠানো-নামানো হবে, যা রেকর্ড।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান কালের কণ্ঠকে বলেন, এনসিটির পাঁচটি জেটিতে ১৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হলে বাড়তি ২০ শতাংশ পণ্য ওঠানো-নামানো সম্ভব। একই সঙ্গে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ দ্রুত হওয়ায় এই টার্মিনালে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি কনটেইনার জাহাজ আমদানি পণ্য নামিয়ে আবার রপ্তানি পণ্য জাহাজে তুলে ছেড়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
জেটির পাশে পানির গভীরতা বেশি থাকা এবং কি গ্যান্ট্রি ক্রেন সুবিধার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালেই (এনসিটি) বড় আকারের কনটেইনার জাহাজ ভেড়ানো হয়। যেসব কনটেইনার জাহাজের নিজস্ব ক্রেন নেই সেই জাহাজগুলোই শুধু এই কি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানো হয়।