আম কার না প্রিয়, কে না চায় মিষ্টি আমের রসালো স্বাদ পেতে! দুধভাতে আম মানেই যেন অমৃতের স্বাদ। আমকে ঘিরে বাঙালির রসনা বিলাস বলে বোঝানো যাবে না। মৌসুমে আমের ব্যাপক চাহিদা। চাহিদার বিপরীতে দিন দিন উৎপাদনও বাড়ছে। বিশ্বে আম উৎপাদনে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। সারাদেশে আমের বাজার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। কিন্তু আমের রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে একেবারে তলানিতে আছে। বিশ্বে কোটি কোটি টাকার আমের বাজার। কয়েকদিন আগেও ধারণা করা হচ্ছিল ২০২৯ সালের বৈশ্বিক আমের বাজার হবে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি ইউএস ডলারের।
বছরদশেক আগেও এ দেশে প্রতিটি ফলের দোকান ভরে থাকত ভারতীয় আমে। বাংলাদেশে প্রধানত ভালো জাতের আম হতো রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে। তা ছাড়া সারাদেশের মানুষের গৃহস্থ ভিটায় যেসব আম গাছ থাকত, সেগুলো ছিল সাধারণ জাতের। আমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দিনে দিনে দেশের সবখানে ছড়িয়ে গেছে আমবাগান। বাংলাদেশে আম উৎপাদন প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে আমের বহুমুখী বাণিজ্যিকায়ন শুরু করে কৃষিশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনার সময়টাতে আমের বাজার নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ভেবেছিলেন করোনার কারণে যেভাবে যোগাযোগ ও বাজার বন্ধ ছিল, হয়তো কৃষক আম নিয়ে বিপাকে পড়বে। ঠিক তখন কিছু তরুণ উদ্যোক্তা অনলাইনে আমের বেচাকেনার ব্যবস্থা করল। আমের বাজারের চিত্রটাই পাল্টে গেল। তারই ধারাবাহিকতায় কয়েক বছর ধরেই আমের অনলাইন বাজার বেশ জমজমাট। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় চলতি বছর ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। মোট উৎপাদনের প্রায় ২০ শতাংশ অর্থাৎ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন আম অনলাইন বাজারে বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।