২০০৯-১০ সাল থেকে আমরা মেগাপ্রকল্প শব্দজোড়ের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করি। রাজনীতিতে সরকারবিরোধীরা মেগাপ্রকল্প নিয়ে নানা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও সমালোচনা করে আসছে। তাদের ভাষায় মেগাপ্রকল্প মানে মেগাদুর্নীতি। অনেকে তাদের এসব বিশ্বাস ও কথায় আস্থাও রাখে।
বড় মাপের কোনো রাজনীতির আলোচনা-সমালোচনায় মেগাপ্রকল্পের বিরুদ্ধে মেগাদুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে করে বেড়ানো হচ্ছে। তখন অনেকের কাছেই মেগাদুর্নীতি কথাটি লুফে নেওয়ার মতো। কিন্তু যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের হাতে কি কোনো তথ্য-প্রমাণ আছে? নাকি সবটাই অনুমাননির্ভর, অনেকটাই শোনা কথা। মেগাপ্রকল্পে দুর্নীতি কতটা হয় বা না হয় সেটা প্রমাণের সুযোগ আমাদের হাতে নেই। তবে মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা ও সক্ষমতা ছাড়া সরকার এতগুলো মেগাপ্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারত কি না, সেটা বড় জিজ্ঞাসা। বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় ৪০ বছর চলেছে ছোট-মাঝারি নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। অতীতে দেশের অর্থমন্ত্রীরা ব্রিফকেস ভর্তি প্রকল্পের নথিপত্র নিয়ে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে হাজির হতেন। সেখান থেকে ফিরে এসে বাজেট দিতেন। বাজেটের ৮০-৯০ শতাংশেই বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থার নানা শর্ত জুড়ে দেওয়া হতো। আমরা তাদের ‘দাতা সংস্থা’ বলে কতই না সম্মান করেছি! বাস্তবে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে এসব ঋণ খুব কমই অবদান রেখেছে। যদি অবদানই রাখত তাহলে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় আমাদের এভাবে ভুগতে হতো না, অর্থনৈতিকভাবেও পিছিয়ে পড়তে হতো না।