এই রোদ এই বৃষ্টি। আবহাওয়ার পাশাপাশি তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে জ্বর-সর্দি। সম্প্রতি দেশে ভাইরাল ফিভারের পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণেরও নতুন ঢেউ প্রবেশ করেছে।
এ অবস্থায় করোনা না ডেঙ্গু, নাকি মৌসুমি জ্বর— এ নিয়ে দ্বিধায় রোগী ও তার স্বজনরা। চিকিৎসকরা বলছেন, এই মুহূর্তে জ্বর এলে বাসায় বসে থাকার সুযোগ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করাতে হবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
আরিফ মাহমুদ পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। গত দুই দিন ধরে তিন বছরের শিশুসহ তার পরিবারের তিন সদস্যই সর্দি-জ্বরে ভুগছে। সাধারণ সর্দি-জ্বর ভেবে এখনও নেননি কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ। চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিচিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাচ্ছি। তবে এখনও কোনো হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা চিকিৎসা করানো হয়নি। দেখছি পরিচিত আরও কয়েকটি পরিবারেও এরকম সর্দি-জ্বর হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি না সেটি সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা না ডেঙ্গু। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে পরীক্ষা করাব।
শুধু আরিফ মাহমুদের পরিবার নয়, জ্বর-সর্দির রোগী এখন ঘরে ঘরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ প্রবেশ করেছে। এই ঢেউয়ে সংক্রমণ দ্রুতগতিতে চূড়ার দিকে যাচ্ছে।