উড়াল ও পাতাল পথের সমন্বয়ে দেশের প্রথম নগর রেলের নির্মাণকাজ আগামী বছরের প্রথম দিকে শুরু হতে যাচ্ছে। এটি হবে মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রো রেলের ৫ নম্বর লাইনের উত্তর রুট। এরই মধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রাথমিক নকশা ও পরামর্শক নিয়োগের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে জরিপ, বিশদ নকশা ও জমি অধিগ্রহণের কাজ।
এমআরটি-৫ উত্তর রুটের নির্মাণকাজে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে আসবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আসছে জাপানের কাছ থেকে। এ জন্য গত মঙ্গলবার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথম দিকে শুরু হতে যাচ্ছে মাঠ পর্যায়ের নির্মাণকাজ।
এমআরটি-৫ উত্তর রুটের প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাব হোসেইন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন ধাপের কাজ এখন বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট তিনটি ঋণচুক্তি হয়েছে। বিশদ নকশার কাজও শেষ পর্যায়ে। তবে পাতালপথের নকশায় দেরি হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ ভালো এগিয়েছে। ডিপোর জন্য ভূমি উন্নয়ন কাজের মধ্য দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ’ তিনি বলেন, ‘সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। এর আগে সরকার ও ঋণদাতা সংস্থার একাধিক অনুমোদনের বিষয় আছে। আগামী বছরের শেষের দিকে পাতালপথের নির্মাণকাজ শুরু হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ’