পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে অপপ্রচার এবং নাশকতার পরিকল্পনা সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট অভিযান পরিচালনা করে পদ্মা বহুমুখী সেতুর অবকাঠামো ক্ষতি সাধনের উদ্দেশে ভিডিওধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজ সম্পাদনকারী মাহদি হাসানকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে ভিডিওধারণকৃত মোবাইলফোনটি উদ্ধার করেছে।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘নাট খোলার আগে সে রেঞ্জ ব্যবহার করে। সে ভিডিওতেই বলেছে, রেঞ্জ ছাড়াই খুলে ফেলা যাচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, সে হাত দিয়ে খোলার আগে রেঞ্জ ব্যবহার করেছে।’ তবে রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একদল অসাধু চক্র পদ্মা সেতু যাতে নির্মিত না হয়, তার জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন অপপ্রচারসহ সেতু ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতিজনিত কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই বিভিন্ন গোষ্ঠী সেতুর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কিছু অসাধু ব্যক্তিকে দেখা যায়, যারা স্থাপনায় উঠে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। গত ২৬ জুন বিকেলে সামাজিক মাধ্যমে ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তার মাহদি হাসান সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত নাট-বল্টু খুলে আবার লাগিয়ে দিচ্ছে।’