ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জাপানের জনজীবন। এ অবস্থায় বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। যে কোনও সময়ে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা। তাই নগরিকদের সম্ভব হলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
তাপদাহের মধ্যে হিটস্ট্রোকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ অবস্থায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া এড়াতে নাগরিকদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে সরকার। আগামী আরো কয়েকদিন এ অবস্থা বিরাজ করবে বলে সতর্ক করেছে জাপানের আবহাওয়া অফিস।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন ঘন ঘন তাপদাহ হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাপদাহের তীব্রতা এবং স্থায়ীত্ব উভয়ই বাড়ছে। প্রাক-শিল্পযুগের তুলনায় বিশ্বের গড় তাপমাত্রা এরইমধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ না নিলে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
বিবিসি জানায়, বুধবার টানা পঞ্চম দিনের মতো জাপানের রাজধানী টোকিওর তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। ১৮৭৫ সাল থেকে জাপান তাপমাত্রার রেকর্ড রাখে। সেই সময় থেকে এই চলতি জুন মাসেই দেশটিতে এত বেশি তাপমাত্রার রেকর্ড তৈরি হল।