শারমিন সুলতানা বাঙালির রান্নাঘরের দিকে নজর দিলে পাকা রাঁধুনির হিসেব করে কুলানো যাবে না। এ রাঁধুনিরা যেমন জানে রকমারি সুস্বাদু খাবার রান্না করতে; তেমনই তারা খাবারের পুষ্টিগুণের দিকেও ইদানীং বেশ সচেতন। তবে কয়েকটি সহজ কৌশলের মাধ্যমে দৈনন্দিন খাবারের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অনেকটাই বাড়িয়ে নেওয়া যায়। একইসাথে করা যায় খাদ্যের অপচয় রোধ।
এখানে খাবারের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়ানোর জন্য আমার জানা কয়েকটি কৌশল তুলে ধরেছি- • সুপের জন্য স্টক বানানোর সময় যে মসলা ও সবজি ব্যবহার করা হয়, যেমন- পেঁয়াজ, রসুন, আদা খোসাসহ সেদ্ধ করুন। সবজির খোসায় এবং খোসার ঠিক নিচেই বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলসমূহের পরিমাণ বেশি থাকে; সাধারণ রান্নার সময় আমরা যা ফেলে দিই। যেসব সবজির ডাটা বা পাতা খাওয়া হয় না; সেগুলোও দিতে পারেন স্টক বানানোর সময়।
• বিভিন্ন সবজির খোসা ফেলে না দিয়ে, সেটি দিয়ে ভর্তা বা ভাজিও বানাতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে লাউয়ের খোসার ভর্তা বা ভাজি করা যায়। আলু খোসাসহ রান্না করতে পারেন। বিভিন্ন কাঁচা ফল বা সবজি যেমন- শসা খোসাসহ খেতে পারেন। কমলা বা লেবুর খোসা গ্রেটার দিয়ে ঝাঁঝরি করে বিভিন্ন সালাদ তৈরিতে দিতে পারেন। এ থেকে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি পেতে পারেন ভিটামিন-সি ও ক্যালসিয়াম। • ভাত, পাস্তা বা নুডলস রান্না করার সময় পানির পরিবর্তে মাছ, মাংস বা সবজির স্টক ব্যবহার করুন। এতে খাবারে শর্করার সাথে সাথে প্রোটিন, কিছু কিছু ভিটামিন ও মিনারেল নিশ্চিত করা যাবে। যে বাচ্চারা ঠিকমতো খেতে চায় না, তাদের পুষ্টি জোগাতে এটি একটি কার্যকর উপায় হতে পারে।