বাংলা সিনেমার ইতিহাস লেখা হলে যেসব সিনেমার নাম সবার আগে প্রাধান্য পাবে, তারমধ্যে অন্যতম একটি ছবি ‘ঘুড্ডি’। উত্তরাধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে যে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো ১৯৮০ সালে! ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী। বহু বছর পর নতুন ছবি নিয়ে আসছেন এই কিংবদন্তী নির্মাতা। আর এই ছবিতে ‘নেগেটিভ’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেন।
সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর নতুন ছবির নাম ‘ক্রান্তিকাল’। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাটির ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২০ সালে। সেসময় ছবিটি নিয়ে তিনি সংবাদ জানিয়েছিলেন, ‘ঘুড্ডি’ যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকেই এটা নির্মাণ করতে চান। আশির দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ‘ক্রান্তিকাল’ সিনেমায় ধরতে চান। এ কারণে সময়টাকে কেন্দ্র করেই সিনেমার নাম ‘ক্রান্তিকাল’ রাখার কথাও জানান এই গুণী নির্মাতা।
ছবিতে আফজাল হোসেনকে দর্শক নেতিবাচক চরিত্রে পাবেন বলে জানান নির্মাতা। সোমবার বিকেলে গুণী এই নির্মাতা বলেন, আমার নতুন ছবিতে জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন শরীফ সিরাজ ও সামিরা খান মাহি। তারা কেমন করলো, সেটা দেখে দর্শকই বলতে পারবেন! এ সিনেমায় অন্যতম চমক বলা যায় আফজাল হোসেন, তাকে দর্শক নেতিবাচক চরিত্রে দেখতে পারবেন।
সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে সিনেমার গান রেকর্ডিং। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, নন্দীতা ইয়াসমিনের কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও ‘ক্রান্তিকাল’ সিনেমায় থাকছে ‘ঘুড্ডি’ সিনেমার বিখ্যাত গান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’। এছাড়াও ছবির গল্পের সাথে প্রাসঙ্গিক রেখে নিজেই দুটি গান লিখেছেন জাকী।
এ বিষয়ে সালাহউদ্দীন জাকী বলেন, ছবির প্রয়োজনে দুটি গানের কথাও আমি লিখেছি। ‘আমি কার কাছে রেখে যাবো আমার ঠিকানা/পদ্মা মেঘনা যমুনা।’- এমন কথার গানটি মূলত পুরো ছবির থিম সং। এটাতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল ও নেহাল। অন্য আরেকটি গান লিখেছি, যেটা পলিটিক্যাল ব্যঙ্গ। গানের কথা এরকম, ‘বেল পাকিলে কাউয়ার আশা কী!’ এই গানটিতেও কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল, সঙ্গে আছেন লীনু বিল্লাহ।