ভারতীয় কিংবদন্তি অভিনেত্রী আশা পারেখ। সত্তর-আশির দশকে এই অভিনেত্রীর পাগল করা রূপ এবং অসাধারণ অভিনয়দক্ষতার প্রতি ‘ফিদা’ হয়নি এমন কেউ নেই। প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর জুটি বলিউডের অন্যতম আকর্ষণ ছিল।
সেই যুগের বক্স অফিস কাঁপানো অভিনেতা আচমকাই কেন অভিনয় ছেড়েছিলেন জানেন? এমনকি এখন তিনি প্রবীণ অভিনেত্রী হিসেবেও পর্দায় ধরা দেন না।
অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “একসময় কাজ আমার কাছে খুব কম আসত, মায়ের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য আমি বেশি প্রস্তাব পেতাম। লোকেরা আমার কাছে এসেছিল। আমি কতগুলো ছবিতে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলামও, কিন্তু আমি এই চরিত্রে খুশি ছিলাম না। আমি বিশ্বাস করিনি যে আমি যা করছিলাম তা ঠিক ছিল।
ভারতীয় একটি বাংলা গণমাধ্যম আশার সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ প্রকাশ করেছে। সেখানে আশা বলেন, আমার মনে আছে, একবার একটি চলচ্চিত্রে একজন নায়কের দ্বারা আমি অত্যাচারিত হয়েছিলাম। কারণ নায়কের শুটিংয়ের শিফট ছিল সকাল সাড়ে ৯টায়, কিন্তু তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আসেন। তখন আমার মনে হচ্ছিল আমি প্রাপ্য সম্মান হারাচ্ছি। একজন নায়কের জন্য এতক্ষণ বসে থাকা সত্যিই আমার কাছে অত্যাচার সমতুল্য ছিল। তবে এসবের মধ্য দিয়ে নিজেকে সামলানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
আমি শট দেওয়ার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইনি। এর পরেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি আর কাজ করতে চাই না। এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও আমাকে জীবনের কিছু পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। আমি এখন বার্ধক্যের খাতায় নাম লিখিয়েছি, আর মিস্টার বচ্চন এখনো তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে সফল। সেখানেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি, তবে আমাদের এই সুযোগ দেওয়া হয় না। তাই আমি যদি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাই, আমি অবশ্যই ফের কাজ করব। ”
‘জব পেয়ার কিসি সে হোতা হ্যায়’,‘তিসরি মঞ্জিল’এবং ‘দো বদন’, কাটি পাতং, ক্যারাভান, এবং 'মে তুলসি তেরে আঙ্গন কি' আশা অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় ও আলোচিত ছবি।