মহামারীর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক বন্যার কারণে ঋণ পরিশোধে আবারও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের এপ্রিলের পর থেকে পরের ৮ মাসের ঋণের কিস্তির ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পরিশোধ করলেই কোনো ‘বৃহৎ শিল্প’ প্রতিষ্ঠানকে আর খেলাপি ঘোষণা করা হবে না।
আর খেলাপির খাতায় নাম তুলতে না চাইলে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তত ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
তবে এই ছাড় সুবিধা শুধু নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে আসা উদ্যোক্তারা পাবেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত যারা খেলাপি না হয়ে কিস্তি দিয়ে আসছেন, কেবল তাদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
বুধবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে বেশ কিছু প্রণোদনা ও নীতি সুবিধা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। খেলাপি ঋণ পুনর্গঠন, পুনঃতফসিল, আংশিক এককালীন পরিশোধের মত ছাড় ছিল সেখানে। গত বছরের জন্য নির্ধারিত কিস্তির ন্যূনতম ১৫ শতাংশ জমা দিয়েও খেলাপি হওয়া এড়াতে পেরেছেন ব্যবসায়ীরা।
এরপরও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নেতারা সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাদের দাবি ছিল, প্রণোদনা হিসেবে পাওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিতে হবে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণকে খেলাপি শ্রেণিভুক্ত করা যাবে না।