ভারতে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলোর সংগঠন মাইক্রোফিন্যান্স ইনস্টিটিউশন নেটওয়ার্কের (এমফিন) তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে মাথাপিছু গড় ঋণ ইতোমধ্যেই পৌঁছেছে ৫৩ হাজার ৭০৮ রুপিতে। ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে এটি সর্বাধিক। মাথাপিছু ৪৬ হাজার ৭৪ টাকা নিয়ে দ্বিতীয় কেরালা।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা ভিএফএস ক্যাপিটালের এমডি-সিইও কূলদীপ মাইতি বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমতেই বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ রোজগারের রাস্তা খুঁজতে শুরু করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুযোগ তেমন নেই।
তিনি আরো বলেছেন, যেখানে ব্যাঙ্ক আছে, সেখান থেকে ঋণ পাওয়ার শর্ত পূরণ করা অনেক সময়ই গ্রামের মানুষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই ছোট ছোট অঙ্কের ঋণের জন্য তারা ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলোর কাছে আসছেন।
একাংশের অভিযোগ, ভারতে বেকারত্ব প্রবল। কোথাও চাকরি নেই। গত বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতিকেও নড়বড়ে করে দিয়েছে। পরবর্তী সময় কাজের খোঁজে নেমে অনেকেই নিজস্ব কিছু করতে চাইছেন। কেউ কেউ ভেঙে পড়া ব্যবসাকে তুলে দাঁড় করাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কিন্তু পুঁজির অভাবে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
সংস্থাগুলোর মতে, ব্যাঙ্কের কড়া শর্ত মেনে ধার শোধ করার ক্ষমতা নেই বেশিরভাগেরই। সে কারণে ক্ষুদ্র ঋণেই ভরসা তাদের।