রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার মধ্যেও আকিজ গ্রুপ, বেক্সিমকো, আরএফএল, আবুল খায়ের ও এনভয় গ্রুপের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিয়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারিজ) আমদানি করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে। এ ঘটনা বাংলাদেশের অর্থনিতির জন্য একটি সুসময়ের ইঙ্গিতও দিচ্ছে।
চলতি মাসে এ ধরণের ২০টি কোম্পানির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের ব্যাংক ও মাল্টিলেটারেল সংস্থা থেকে ৩৫২ মিলিয়ন ডলারের ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেসরকারিখাতে বিদেশি ঋণ অনুমোদন সংক্রান্ত বাছাই কমিটি, বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩,২৭৫ কোটি টাকা।
অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল ও স্পিনিংখাতের। এছাড়া, ইস্পাত, বিদ্যুৎ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্লাস্টিক ও সিরামিক খাতের কোম্পানিও বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে।
গত ৫ জুন কমিটির অনুমোদিত ৩৫২ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১১টি কোম্পানির নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যয় হবে ৩২৬ মিলিয়ন ডলার। কমিটির সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া, আটটি কোম্পানি কোভিডের সময় ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি করেছে। কিন্তু কোভিডকালে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় সময়মত ওইসব বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। তারা এখন পুনঃঅর্থায়ন (রিফাইন্যান্সিং) সুবিধা নিয়ে ২৫.৪৩ মিলিয়ন ডলারের ম্যাচুরিটি এক্সটেনশন সুবিধার অনুমোদন পেয়েছে।
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড সারা দেশে তাদের পরিষেবার মান উন্নত করতে কমিটির কাছ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন পেয়েছে।