এই প্রস্তাবটি কেবল দেশটির পার্লামেন্টে পাস হলেই আইনে পরিণত হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে জনসাধারণ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করছে। এমতাবস্থায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হ্রাস করে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই ধারণা।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা দিনুক কলম্বাজ আল–জাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, গত সোমবার শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হ্রাস করতে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির সংবিধানের ২১ তম সংশোধনীর একটি খসড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হ্রাস করে বেশ কিছু ক্ষমতা দেশটির পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার পর্যটনমন্ত্রী হারিন ফার্দিনান্দ বলেছেন, ‘আজ (সোমবার) সংবিধানের ২১ তম সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়েছিল এবং তা পাসও হয়েছে।’ তবে মন্ত্রিসভায় পাস হলেও দেশটির পার্লামেন্টের সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের সম্মতির প্রয়োজন।
এর আগে, ২০২০ সালের অক্টোবরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে তাঁর ভাই দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সহায়তায় সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন। সেই সংশোধনীর পর থেকে প্রেসিডেন্টকে দেশটির মন্ত্রীদের নিয়োগ এবং তাদের পদচ্যুত করার ক্ষমতা দিয়েছিল। এ ছাড়া, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পুলিশ, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দিয়েছিল।