কাস্পিয়ান সাগর থেকে বেশ কিছুটা ওপরে বাতাসে সাদা কিছু একটাকে ভাসতে দেখা গেছে। এমনই অদ্ভুত একটি বিষয় ধরা পড়েছে নাসার স্যাটেলাইটে। ওই দৃশ্য স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতেও দেখা গেছে। কিন্তু সাদা ওই কুণ্ডলী আসলে কি? তা নিয়ে রীতিমতো ভেবে যাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। চেষ্টা করছেন রহস্যভেদ করার।
নাসার বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা, ওটা আসলে মেঘ। সাদা মেঘ। যা সূর্যের আলোর ছটায় উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। কিন্তু, সত্যিই কি তাই? বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগর। তার ওপর মেঘের আনাগোনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এটা মেঘ হলে সেই মেঘের আকৃতিটা যেন কেমন কেমন!
এটাই ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। কারণ, সচরাচর এতটা বড় জায়গাজুড়ে জমাটবদ্ধ বড় সাদা মেঘ তো তেমন একটা দেখা যায় না। তাছাড়া কাস্পিয়ান সাগরের বাকি জায়গায় মেঘ নেই কেন? এসব প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
নেদারল্যান্ডস ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চের একজন বিজ্ঞানীও নাসার সাহায্যে ছবিটা দেখেছেন। বাস্তেন ভ্যান ডিডেনহোভেন নামে ওই বিজ্ঞানীর দাবি, এটা আসলে একটি ছোট্ট স্ট্র্যাটোকুমুলাস মেঘ। কিউমুলাস মেঘগুলো ‘ফুলকপি-আকৃতির’ মেঘের ‘স্তূপ’। যা সাধারণত ভালো আবহাওয়ার সময় পাওয়া যায়। স্ট্র্যাটোকুমুলাস মেঘে এই স্তূপগুলো একত্রে জড় হয়। এতে মেঘের একটি বিস্তৃত আনুভূমিক স্তর তৈরি হয়।
ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো স্ট্র্যাটোকুমুলাস মেঘ একটি স্তর তৈরি করেছে। যা প্রায় ১০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এই মেঘগুলো সাধারণত কম উচ্চতায় তৈরি হয়। সাধারণত ভূমি থেকে ৬০০ বা ২০০০ মিটার ওপরে এই মেঘ তৈরি হয়। ছবির মেঘটি সম্ভবত ১৫০০ মিটার উচ্চতায় ঘোরাফেরা করছিল বলেই মনে করছেন বাস্তেন।