পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের নাম সিআইডি। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য অনেক। কিন্তু এই সাফল্যের আড়ালে জেঁকে বসেছে ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্র্নীতি। দীর্ঘদিন থেকে শাক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট সিআইডির অভ্যন্তরীণ কেনাকাটা থেকে শুরু করে সব কিছুতে কমিশন দুর্নীতির কালো থাবা বসিয়েছে। চক্রটি এতটাই প্রভাবশালী যে, এদের বিরুদ্ধে কেউ টুঁ শব্দ করার সাহস করে না। নেপথ্যের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও স্পর্শকাতর অভিযোগ।
তবে বিলম্বে হলেও এসব নিয়ে সংক্ষুব্ধরা এখন সোচ্চার। চাকরি হারানোর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কেউ কেউ তথ্য-প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দুদকসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে। অপকর্মের ফিরিস্তিসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশ সদর দপ্তরেও। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি সম্প্রতি যুগান্তরের হাতে আসে। এছাড়া সিআইডির অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার বিভিন্ন পদমর্যাদার একাধিক পুলিশ সদস্যের বক্তব্যের অডিও-ভিডিও রেকর্ড যুগান্তরের কাছে সংরক্ষিত আছে।
মোটাদাগের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-সোর্স মানি বিতরণে গুরুতর অনিয়ম, বদলি বাণিজ্য, যানবাহনের তেল, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের নামে অর্থ লোপাট, প্রশিক্ষণ, টিএ বিল, রেশন ও ক্লথিং স্টোরের কেনাকাটায় অবিশ্বাস্য সব দুর্নীতি। দুর্নীতির টাকায় বিশাল বিত্তবৈভব গড়ে তুলেছেন কনস্টেবল থেকে শুরু করে সিআইডির কতিপয় প্রভাবশালী কর্মকর্তা। সিআইডি সদর দপ্তরে নিজস্ব শক্তিশালী বলয় গড়ে তুলতে বিশ্বস্ত লোকজন দিয়ে নিশ্ছিদ্র প্রটেকশন গড়ে তুলেছেন তাদের কেউ কেউ। তবে অভিযোগ আমলে নিয়ে ইতোমধ্যে সিআইডির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জোর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।