পুলিশ হেফাজতে মিজানুরের কয়েক ঘণ্টা এবং আজকের বাংলাদেশ

প্রথম আলো রুমিন ফারহানা প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২, ০৯:১৯

ভদ্রলোকের নাম মিজানুর রহমান। তাঁর কথা আমি প্রথম জানতে পারি ২০১৯ সালে, ‘ঢাকা ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়’—ঢাকা ওয়াসার এমডির এমন দাবির প্রতিবাদে ওয়াসা ভবনের সামনে অবস্থান নেন তিনি। এমডির কাছে তাঁর চাওয়া ছিল সামান্য; ওয়াসার পানি দিয়ে বানানো শরবত খেতে হবে তাঁকে। সম্প্রতি আবারও দেখলাম পত্রিকায় তাঁর নাম।


কয়েক দিন আগে জুরাইনে মানুষের হাতে পুলিশের হেনস্তা হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যায়’ শ্যামপুর থানা-পুলিশ। পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ফিরে এসে অন্য সব ক্ষেত্রে যা হয়, তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা ঘটল তাঁর ক্ষেত্রে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে তুলে নিলে যদি অতি সৌভাগ্যবান কেউ হন, তবেই ফিরে আসতে পারেন তিনি। কিন্তু ফিরে আসা কাউকে আজ পর্যন্ত মুখ খুলতে দেখিনি আমরা। এর মধ্যে একটা বিরাট ব্যতিক্রম দেখলাম মিজানুর রহমান। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় থেকে শুরু করে পুলিশি হেফাজতে থাকা—পুরো সময়ের ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন তিনি।


মিজানুরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কারণ আর মুক্ত হওয়ার পর ডেইলি স্টার বাংলায় তাঁর পুলিশি হেফাজতে থাকার সময়ের যে বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছে, সেটা বর্তমান বাংলাদেশের চিত্রকে তুলে ধরেছে।  


গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার এবং মামলা-বাণিজ্য


জুরাইনে পুলিশের সার্জেন্টের ওপরে হামলার ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করে, যাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়। এটা নিয়ে মিডিয়ায় কথা বলেন মিজানুর এবং একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসও দেন, যাতে তিনি লিখেছিলেন—‘দুটি ঘটনা ঘটবে বলা যায়। এক. মামলা-বাণিজ্য। দুই. মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ-বাণিজ্য। এমন একটি রাষ্ট্রে বাস করছি, যেখানে এ ঘটনার নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু তদন্ত চাইব, সে অবস্থাও নেই।’


পুলিশের সঙ্গে সমস্যা হলে তো বটেই, এমনকি পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে শত শত অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে পুলিশের মামলা করার চর্চা আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি, পুলিশের মামলা করার জন্য কোনো অপরাধের অভিযোগও দরকার নেই; অসত্য অভিযোগে পুলিশের মামলা-বাণিজ্য এবং ঘুষ-বাণিজ্য চলতে পারে। এমন মিথ্যা মামলা যা এখন পরিচিত ‘গায়েবি মামলা’ নামে, সেটা এই সরকারই চিনিয়েছে দেশের মানুষকে। এ ধরনের মামলার প্রধান ভুক্তভোগী সাধারণত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা। আবার বাণিজ্যের উদ্দেশ্য সফল করতে নিজেরদের পছন্দমতো ব্যক্তিদেরও আসামি করে পুলিশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us