বাবা মানে ঠিকানা, নির্ভরতার আকাশ। বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। বাবা মানে নিরাপত্তার চাদর। বাবা মানে শক্ত খুঁটির ঘর। সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহ-আদর যেমন পরিমাপ করা যায় না, তেমনি মাপা যায় না সন্তানকে ঘিরে বাবার স্বপ্ন-সাধের সীমানাও। আর বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে। তার পরও পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিনকে বাবার জন্য রেখে দিতে চায়। যেমনটা মায়ের জন্য করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাবা দিবসের প্রচলন। আজ বছর ঘুরে সেই রোববার, বিশ্ব বাবা দিবস। বিভিন্ন দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে বাবা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।
শিশুর অন্তরে যে পিতা ঘুমিয়ে আছে আজ তাকে নতুন করে আরও একবার ভালোবেসে ফেলার দিন। বছরের এই একটি দিনকে প্রিয় সন্তানরা হৃদয়ে ধারণ করে আলাদা করে নিয়েছে। ভাষা বা স্থানভেদে ‘বাবা’ শব্দটির উচ্চারণ বদলায়। তবে বদলায় না রক্তের টান। জার্মানিতে যিনি ‘ফ্যাটা’, আমেরিকার ‘ফাদার’, ভারতের ‘পিতাজি’, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘পা’, মালয়ের ‘আবাম্বু’ বাংলায় হয়ে যায় ‘বাবা-আব্বা’।
গত বছর অগ্নিকাণ্ডে বাবাকে হারান নারায়ণগঞ্জের কিশোর মিনহাজ চৌধুরী। বলছিলেন, বাবা নেই-জীবনটাই যেন শূন্য। টাকা পয়সা আছে, বাবার ব্যবসাও রয়ে গেছে। নতুন বাড়ি হয়েছে। কিন্তু, কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগে। যে শূন্যস্থান কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হচ্ছে না। আমার কোনো কিছু না থাকলেও, বাবা যদি সামনে থাকত, আর কিছুই দরকার ছিল না। বার্ন ইউনিটে তার সামনেই বাবা চিরতরে চলে গেছেন। বাবার কবরে গিয়ে কান্না করি, কিন্তু বাবার মুখের শব্দ শুনি না। মাথায় হাত রেখে বলে না, মিনহাজ কাঁদিস না। কথাগুলো বলতে গিয়ে শিশুর মতো কাঁদছিলেন কিশোর মিনহাজ।