পণ্য আমদানি-রপ্তানির সনদ (আইআরসি-ইআরসি) নেওয়ার খরচ বাড়ছে।
এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইএন্ডই) এ সংক্রান্ত যত ধরনের সেবা দিয়ে থাকে, সেসব সেবার বিপরীতে ফি আরোপ করা হচ্ছে। সিসিআইএন্ডইর দেওয়া সেবার ফি নির্ধারণী সংক্রান্ত কমিটির সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৫-১৮ মেয়াদের আমদানিনীতি আদেশ অনুযায়ী বর্তমানে আমদানি-রপ্তানি সনদের ফি আদায় করা হয়। এই ফি যুগোপযোগী করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। ৮ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ফি পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা শিগগিরই প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে।
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে আইআরসি (আমদানি নিবন্ধন সনদ) এবং পণ্য রপ্তানি করতে ইআরসি (রপ্তানি নিবন্ধন সনদ) নিতে হয়। এ সনদ দেয় আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইএন্ডই)। একজন আমদানিকারক বছরে কত টাকার পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী, সে টাকার অঙ্ক অনুযায়ী সনদের নিবন্ধন ও নবায়ন ফি ধার্য করা হয়ে থাকে। আমদানি সনদের শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্যাটাগরি আছে।
বর্তমানের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আমদানি সনদের নিবন্ধন ও নবায়ন ফি আগের মতোই যথাক্রমে পাঁচ হাজার ও তিন হাজার টাকা রাখা হয়েছে। পাঁচ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নতুন স্তর বানিয়ে, এর নিবন্ধন ও নবায়ন ফি যথাক্রমে আট হাজার ও চার হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।