দেশে আমদানিতে সবচেয়ে বেশি ডলার ব্যয় হয় শিল্প খাতে। শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আনতে ডলারের ৫৭ শতাংশ ব্যয় হয়। তবে একক পণ্য হিসাবে সবচেয়ে বেশি ডলার ব্যয় হয় জ্বালানি তেল আনার ক্ষেত্রে।
যা মোট আমদানির সাড়ে ৯ শতাংশ। দেশের শিল্প খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। এরপরই রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণ থেকে আসে মাত্র ৩ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি আমদানি ব্যয় মাত্রাতিরিক্ত বাড়ায় ও রেমিট্যান্স কমায় বাজারে ডলারের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কোন কোন খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়ানো যায় এবং কোন কোন খাতে কমানো যায় সে বিষয়টিও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এর আলোকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়াতে ও ব্যয় কমাতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু পদক্ষেপ অচিরেই নেওয়া হবে।